জমির পরিমানঃ১০০ শতাংশ
কৃষকের নামঃ
কাজী আনোয়ারুল ইসলাম
পিতার নামঃ
কাজী আব্দুল মজিদ
গ্রামঃ
মুরারীপুর
ইউনিয়নঃ
রামকান্তপুর
উপজেলাঃ
রাজবাড়ী সদর
জেলাঃ রাজবাড়ী
প্রথম বছরের হিসাব:
খরচঃ ৩৫০০০/= টাকা
আয়ঃ ১১০০০০/=টাকা
লাভঃ৭৫০০০/=টাকা
ব্রিধান-৯২ সম্প্রসারণে সফল এক সিআইজি কৃষক
কাজী আনোয়ার একজন সাধরন কৃষক। পুরাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও সঠিক প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে প্রতিনিয়ত লোকশান হয়ে যখন কৃষি কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার মতো অবস্থা ঠিক তখনই কথা হয়
জনাব আঞ্জুমান আরা নূপুর সংশ্লিষ্ট উপসহকরী কৃষি অফিসার এর সাথে। তখন তিনি আধুনিক চাষাবাদ ও বিভিন্ন ফসলের আধুনিক জাত সম্পর্কে ধারনা লাভ করেন। এরপর তিনি NATP-2 প্রকল্পের সিআইজি সদস্য হিসাবে গতিশীল ভূমিকা পালন করেন। NATP-2 প্রকল্প থেকে আধুনিক চাষাবাদের উপর বিভিন্ন প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষন গ্রহন করে। নতুন আঙ্গিকে চাষাবাদ শুরু করেন, এতে তার ফলন আগের তুলনায় বাড়তে থাকে এবং কৃষিতে লাভবান হতে শুরু করেন। এক পর্যয়ে কাজী আনোয়ার সংশ্লিষ্ট উপসহকরী কৃষি কর্মকর্তা কাছ থেকে বোরো মৌসুমের আধুনিক জাত ব্রি ধান-৯২ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এনএটিপি-২ এর বোরো ধানের ফলন পার্থক্য কমানো সর্ম্পকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয় এবং তাকে ব্রি ধান-৯২ প্রদর্শনী দেওয়া হয় । তিনি প্রদর্শনী সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করেন এবং দেখা যায় অন্য জাতের ধানের থেকে এ জাতের ধানে কুঁশির সংখা অনেক বেশি, উচ্চতার দিক থেকে লম্বা, শীষের দৈর্ঘ্য বেশি, শীষে ধানের সংখ্য বেশী । এদেখে স্থানীয় কৃষকের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি হয় । ব্রি ধান ৯২ এর জীবনকাল ১৬০ দিন। ফলন অন্য ব্রি ধান থেকে ১.৫-২ মেঃটন বেশী । ফলন বেশী হওয়ার কারনে কৃষকও খুশি এবং তার কাছে আশপাশের কৃষক বীজ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। তিনি ৫০০ কেজি বীজ সংগ্রহ করেন এবং প্রতি কেজি বীজ ৪০ টাকা হারে মোট ২০,০০০ টাকা বিক্রয় করেন । তিনি ২০২১-২২ অর্থ বছরে রাজবাড়ী সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ৮০ জন কৃষকের কাছে নতুন জাতের এই ব্রিধান-৯২ এর বীজ বিক্রয় করেন যা দ্রুত নতুন জাত সম্প্রসারণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তারা ব্রি ধান ৯২ এর ফলন দেখে আশে পাশে এই জাত বেশ
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । বর্তমানে তিনি ব্রিধান-৮৭ সহ ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৮৯, ব্রিধান-৯২, জাতের বীজ উৎপাদন ও বিপনন করে প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন।
কৃষকের মন্তব্যঃ আমি পূর্বে ব্রি ধান-২৯ চাষ করতাম । ব্রি ধান-২৯ থেকে ব্রি ধান-৯২ এর ফলন বেশী এবং রোগ ও পোকার আক্রমন কম। উচ্চতা বেশী হওয়ায় খরের পরিমান বেশী হয় এবং উৎপাদন খরচও তুলনামুলক কম তাই এই জাতটি ভালো ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস